কাঠাল

 

🌳 কাঠাল: বাংলাদেশের জাতীয় ফল

বৈজ্ঞানিক নাম: Artocarpus heterophyllus
পরিবার: Moraceae
উৎপত্তিস্থল: ভারত, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল।


🔍 কাঠালের বৈশিষ্ট্য

বৈশিষ্ট্যবিবরণ
আকৃতিবিশ্বের সবচেয়ে বড় গাছে জন্মানো ফল (ওজন ১০-৫০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে)।
বাহ্যিক অংশসবুজ বা বাদামি খোসা, কাঁটাযুক্ত।
অভ্যন্তরীণ অংশহলুদ রঙের কোয়া, প্রতিটিতে একটি করে বিচি থাকে।
স্বাদপাকা অবস্থায় মিষ্টি ও সুগন্ধি; কাঁচা অবস্থায় রান্নায় ব্যবহারযোগ্য।

🌱 কাঠালের গাছ

  • উচ্চতা: ৩০–৭০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।

  • জীবনকাল: ৫০-৬০ বছর পর্যন্ত ফল দিতে পারে।

  • জলবায়ু: উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে ভালো হয়।

  • মাটি: দোআঁশ বা লাল মাটি কাঠালের জন্য উপযোগী।


🍽️ খাদ্য ও পুষ্টিগুণ

উপাদানপরিমাণ (প্রতি ১০০ গ্রাম)
শক্তি~৯৫ ক্যালরি
শর্করা২৩ গ.
প্রোটিন১.৭ গ.
ফাইবার১.৫ গ.
ভিটামিন C~১৩.৭ মি.গ্রা.
পটাশিয়াম৪৪৮ মি.গ্রা.

উপকারিতা:

  • হজমে সহায়তা করে।

  • রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

  • ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।

  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।


🧑‍🍳 ব্যবহারের ধরন

  • পাকা কাঠাল: সরাসরি খাওয়া যায়, মিষ্টান্ন, আইসক্রিম, জ্যাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

  • কাঁচা কাঠাল (এঁচোড়): তরকারি, বিরিয়ানি, ভুনা ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।

  • বিচি: সিদ্ধ বা ভাজি করে খাওয়া যায়, বিভিন্ন ভর্তা ও তরকারিতে ব্যবহার হয়।


🏞️ বাংলাদেশে কাঠাল

  • জাতীয় ফল: ১৯৮০ সালে কাঠালকে বাংলাদেশের জাতীয় ফল ঘোষণা করা হয়।

  • প্রধান উৎপাদন এলাকা: টাঙ্গাইল, নরসিংদী, গাজীপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম।

  • মৌসুম: মে – জুলাই


🧪 কাঠালের বীজের ব্যবহার

  • প্রোটিন, আয়রন ও ফাইবার সমৃদ্ধ।

  • পাউডার করে খাবারে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

  • শুকিয়ে সংরক্ষণও করা যায়।


🌿 কিছু জনপ্রিয় জাত (বাংলাদেশে):

  1. নরসিংদী কাঠাল

  2. গোলাপখালি

  3. রাণীভোগ

  4. কোপালভোগ


🔚 উপসংহার

কাঠাল শুধু সুস্বাদু ফলই নয়, এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ এবং গর্বের বিষয়।

Comments

Popular posts from this blog

লক্ষণ সেন

কাচা আমের উপকারিতা